অধিক লাভের আশায় লালমনিরহাট জেলার ৫টি (লালমনিরহাট সদর, আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, পাটগ্রাম) উপজেলার ৪৫টি ইউনিয়ন, ২টি (লালমনিরহাট, পাটগ্রাম) পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকায় এবার আগাম জাতের শাক-সবজি চাষ ও পরিচর্যা করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে অধিকাংশ কৃষক।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও অধিক লাভের আশায় শাক-সবজিসহ মসলা জাতীয় ফসলের ব্যাপক চাষ নতুন উদ্যোমে শুরু করেছে।
জানা গেছে, শাক-সবজি মাঠ থেকে ঘরে তোলার পূর্ব মুহুর্তে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে সম্পূর্ণ রূপে পচে নষ্ট হয়। ফলে অধিকাংশ কৃষক আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত বছরের ওই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এ বছর আগাম সবজি চাষ করতে কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
শাক-সবজি চাষী হযরত আলী, আব্দুর রহমান ও মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় করলা, পটল, বেগুন, শীম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো ও মসলা জাতীয়সহ শাক-সবজির চাষ ইতিমধ্যে শুরু করেছে। আশা করি এসব সবজির কাঙ্ক্ষিত ফলন ও বাজার দর ভালো হবে।
ফুলগাছ ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম খন্দকার বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান থেকে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকি। যাতে তারা বেশি লাভবান হতে পারে।
উল্লেখ্য যে, ইতোমধ্যে আগাম জাতের সবজি হাট-বাজারে বিক্রয় শুরু হয়েছে। কৃষকরা এখন লাভের মুখ দেখছেন।